বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিন বগুড়ায় অবরোধ-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শহরতলীর তিনমাথা এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়ায় সকালে শহরতলীর তিনমাথার তেলিপুকুর এলাকায় পুলিশ পাহারায় যানবাহন চলাচলের সময় পেছন থেকে চার থেকে পাঁচটি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সামনের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ছোড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশের কঠোর অবস্থানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে বগুড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জামায়াত৷ সকাল ৬টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের নওদাপাড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। জামায়াতের বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন। এছাড়া শহরের চারমাথা, তিনমাথা এবং সাবগ্রাম এলাকায় অবরোধের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
বগুড়া র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, জনগণের নিরাপত্তায় র্যাব মাঠে আছে। সকালে তেলিপুকুর এলাকায় কিছু সমস্যা হয়ে হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি সব স্বাভাবিক আছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, সকালে অবরোধকারীরা বেশ কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর চালাতে থাকে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। অবরোধকারীরা আমাদের দিকে ককটেল ছুড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।