জুন ১২, ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
কোরবানির হাট ও কোরবানি উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আগের যে কোনও সময়ের চাইতে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “আগে কোরবানির হাট ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দুর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পূর্ণভাবে সক্ষম। কারণ বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ড্রাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আরও ১৫টি ড্রাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে। বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে আগের যে কোনও সময়ের চাইতে আমরা এখন অনেক বেশি সক্ষম। আমরা আশাবাদী, গতবার ঢাকাবাসীকে যে সুবিধা দিতে পেরেছি, এবার তার চেয়ে আরও সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।”
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, “আমরা আশাবাদী যে, স্বাচ্ছন্দ্যেই পশুর হাটগুলো পরিচালিত হবে এবং সকলেই সেখান থেকে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় করতে পারবেন। এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তাই, কোথাও যদি কোনও রকম বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবগত করলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিব। আমরা প্রতিবছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি। সে আলোকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজাই। সে প্রেক্ষিতে এবার আমরা হাটের জন্য আলাদা জনবল, কর্মকর্তা ও যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করেছি।”
গতবছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে উল্লেখ করে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। পরের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। আর যেহেতু চাঁদরাত হাটে পশুর সংখ্যা, হাটের পরিধি ও বিক্রি কমে যায় সেহেতু চাঁদরাতের মধ্যরাত থেকে আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব।”
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ।