বিগত কোরবানির ঈদে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই ভিডিও আপলোডের সঙ্গে সঙ্গে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি ও তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান। চলছে ব্যাপক সমালোচনা। এমতাবস্থায় ওই পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে মতিউর রহমান কোথায় অবস্থান করছেন- সেটা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।
রাজধানীর ধানমন্ডির ৮ নম্বর রোডে ৪১/২ নম্বর ইম্পেরিয়াল সুলতানা ভবনের পাঁচতলায় ঈদের দিনও ছিল রঙিন আলোর ঝলকানি। বাড়ির নিচে বাঁশের খুঁটিতে বেশ কয়েকটি গরু-ছাগল বেঁধে রাখা ছিল। সব কোরবানি হয়েছে। কিন্তু এক ছাগলকাণ্ডে এখন সবকিছুই থেমে গেছে। বাসার মূল ফটক বন্ধ, নেমপ্লেট খুলে রাখা হয়েছে।
বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মী জানান, ইফাতের পরিবার সেখানে নেই। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেননি তারা। এদিকে বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের অবস্থানের একপর্যায়ে ওপর থেকে নিক্ষেপ করা হয় মলমূত্র। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা নিয়ে কোনো কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র সমকালকে একটি সূত্র জানায়, ইফাতের ছাগলকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ধানমন্ডির বাসা ছেড়ে কাকরাইলে নিজেদের আরেকটি ফ্ল্যাটে গিয়ে ওঠেন ইফাত, তার মা শাম্মী আখতার ও ছোট ভাই। গতকাল দুপুরে কাকরাইলে স্কাইভিউ মমতা সেন্টার নামে ওই ভবনে গিয়ে জানা যায়, ভবনের ৭/ডি নম্বর ফ্ল্যাটটি তাদের।
ফ্ল্যাটের নিরাপত্তাকর্মী রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত তারা এই বাসায় ছিলেন। এই ফ্ল্যাটে ইফাত, তার মা ও ছোট ভাই মাঝেমধ্যে থাকেন। সেখানে আসেন মতিউর রহমান।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৭/এ নম্বর রোডের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে ৫ কাঠা আয়তনের প্লটে তৈরি করা সাততলা ভবনের এক ফ্লোরে বাস করেন মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি। এই বাড়িতে মতিউর, তার স্ত্রী ও ছেলের পাঁচটি গাড়ি রাখা। কিন্তু গতকাল এই বাসায় মতিউর রহমানকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি।
সমকালকে অন্য একটি সূত্র জানায়, ছাগলকাণ্ডের পর ছেলেকে অস্বীকার করে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তবে ইফাত এরই মধ্যে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।