অবশেষে মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার হচ্ছে অবসান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৯:১২ এএম

অবশেষে মিরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার হচ্ছে অবসান

মিরপুরবাসীর অনেক আকাঙ্ক্ষার-অপেক্ষার মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার। এর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিল তারা। অবশেষে অবসান হচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার। চালু হচ্ছে ২.৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি। এটি দিয়ে মিরপুর থেকে বিমানবন্দরে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই যাওয়া যাবে বলে দাবি প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় কালশী বালুর মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্ধারিত সময়ের চার মাস আগেই চালু হচ্ছে ফ্লাইওভারটি।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ‘ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ, উন্নয়ন ও কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ’ নামে এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্মাণের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এর আগেই নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। কালশী থেকে মাটিকাটার ইসিবি চত্বর যাওয়ার রাস্তাটি আগের চেয়ে প্রশস্ত করা হয়েছে। এর ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ফ্লাইওভার। 

প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার লম্বা সড়কটি চওড়ায় ১২২ ফুট। লেন রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য দুটি লেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা। এটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।

মিরপুরের যাতায়াত সহজ করতে আগেই নতুন সড়ক ও সেনানিবাস এলাকায় উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানালেন ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা। এতে মিরপুরে যাতায়াতে সড়কটির ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। তবে কালশী মোড়ে সরু থাকায় সেখানে প্রায় যানজট হতো। এখন ওই পথ দৈনিক এক লাখ যানবাহনের চাপ সামলাতে পারবে। ফ্লাইওভারটি নির্মাণের ফলে মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা, মহাখালী ও রামপুরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ আরও সহজ হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, ফ্লাইওভারটি মিরপুরবাসীর জন্য বড় পুরস্কার হবে। এর ফলে কোনো যানজট হবে না। ফ্লাইওভারের নিচে ফুটপাত ও সাইকেল লেন করা হয়েছে এবং দুটি ফুটওভার ব্রিজও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম এবং প্রকল্প সম্পর্কিত উপস্থাপনা এবং ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করবেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মনোয়ারুল ইসলাম সরদার।

এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন- ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

Link copied!