আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নানা আয়োজন ও কর্মসূচির মাধ্যমে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এবারের নারী দিবসের স্লোগান হলো ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সারা দেশে আজ দিবসটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটির মূল আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও জাতীয় পর্যায়ে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
এছাড়া বিটিভিসহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেল ও গণমাধ্যমে টকশো, বিশেষ নিবন্ধ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২০ উপলক্ষে ১৬-১৮ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে তিন দিনব্যাপী ‘নারী উন্নয়ন মেলা’র আয়োজনও রয়েছে।
১৮৪৮ সালের ১৯-২০ জুলাই নিউইয়র্কে সর্বপ্রথম নারীদের অধিকার নিয়ে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে সোস্যালিস্ট পার্টি অব আমেরিকার উদ্যোগে নির্ধারিত সময় ও সমমজুরির দাবিতে ধর্মঘট পালন করেন নারী বস্ত্র শ্রমিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম নারী দিবস পালন করা হয়।
১৯১০ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে শ্রমজীবী নারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কোপেনহেগেন সম্মেলনের পর ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে নারী দিবস পালিত হয়। ১৯১৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে নারীরা ভোটাধিকার পাওয়ার ফলে ৮ মার্চ সেখানে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হতে থাকে। তারপর থেকেই সমাজতান্ত্রিক দলগুলো কমিউনিস্ট শাসিত দেশগুলোয় ৮ মার্চ নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে
১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ উপলক্ষে জাতিসংঘ দিবসটি প্রথম পালন করে। তার পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৮ মার্চকে নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।