ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করেছেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে গ্রাহক আরিফ বাকের গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন।
অভিযোগকারী আরিফ বাকের নামের জানান, ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে পণ্য কিনতে ওই প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা দেন তিনি। ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেন প্রতিষ্ঠানের দুই কর্ণধার।
এ অভিযোগে এজাহারের বরাত দিয়ে গুলশান থানার পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, গ্রাহক আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে কিছু পণ্যের অর্ডার দেন। গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত আরেফ বাকের বিভিন্ন সময় পণ্যের মূল্য বাবদ ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। পণ্য ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের অঙ্গীকার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহকসেবা শাখায় (কাস্টম কেয়ার সেন্টার) যোগাযোগ করে পণ্য পেতে ব্যর্থ হন। এর আগে যতবার যোগাযোগ করা হয়, ততবারই তারা দেব–দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৯ সেপ্টেম্বর বাকেরসহ তিনজন ধানমন্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির অফিসে যান ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তারা বাধার শিকার হন। পরে বাকের বন্ধুদের নিয়ে ইভ্যালির অফিসে প্রতিনিধিদের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা চিৎকার–চেঁচামেচি করেন। একপর্যায়ে অফিসের ভেতর থেকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল তাকে ভয়ভীতি দেখান ও তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি তাদের প্রাণনাশের হুমকিও দেন। তখন ইভ্যালির চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত হয়ে পণ্য অথবা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তিনিও তাদের ভয়ভীতি, হুমকি দেওয়াসহ চরম দুর্ব্যবহার করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ইভ্যালি পণ্য বিক্রির নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার মতো ৭০০-৮০০ মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।