ওয়াসার সক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে দেশের টাকা ছাড়াও বিদেশ থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। যা ২০২৪ সালের পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণ পরিশোধ করতে বাড়ানো হয়েছে ওয়াসার পানির মূল্য।
রবিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে ঢাকা ওয়াসা ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ওয়াটারএইডের যৌথ সহযোগিতায় এলাকাভিক্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ বিষয়ক টেকনিক্যাল স্টাডির (কারিগরি গবেষণা) ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, “আমরা বলে আসছি ছোটবেলা থেকে- দশের লাঠি একের বোঝা। তাই আমরা গ্রাহকরা যদি ৫০/১০০ টাকা দেই, দেশ পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা থেকে মুক্তি পাবে।”
ওয়াসা ভর্তুকি দেওয়ার কোন জায়গা নাই জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা যখন বলি- আরও কোয়ালিটিপূর্ণ পানি চাই, তাহলে তো কোয়ালিটিপূর্ণ দাম দিতে হবে। এখন আমরা যে পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছি, এখানে ৫০/১০০ টাকা সামর্থবানরা দিবেন। আমরা সবাই মিলে দেশের দায়িত্ব নিতে চাই। সেখানে আমাদের ভাগে খুব একটা পড়বে না। আর ভর্তুকি আমরা দিব, যারা অসহায় কিংবা সমস্যায় আছেন। তবে আমরা বলতে পারি দাম বেশি হবে না।”
ওয়াসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথেষ্ট লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে পারে জানিয়ে এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, “ওয়াসার পানির দাম রিজনেবল জায়গায় আসা দরকার। আমরা সবাই ট্যাক্স দেই। এই ট্যাক্স যদি পাঁচ টাকা বেশি দেওয়ার কারণে দেশ উন্নত হয়ে যায়, দেশ সুবিধা বাড়িয়ে দিবে।” এ সময় বর্তমানে আমাদের পানির উৎপাদন খচর ২৫ টাকা বলেও জানান মন্ত্রী।