বরিশাল সদর উপজেলায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুইটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। রবিবার (২২ আগস্ট) সকালে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ওই মামলা দুটির আবেদন করা হয়। এর আগে, পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
রবিবার মামলার একটি আবেদন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২ নম্বর প্যানেল মেয়র ও ৭ নম্বর ওয়র্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকন।অন্য আবেদনটি করেন সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কার্মচারী বাবুল হালদার।
বাদীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আদালতে উপস্থিত থাকা বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কাইয়ুম খান কায়সার গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,আবেদনের শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মাসুম বিল্লাহ সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য রেখেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত দেয়ার পর জানা যাবে যে মামলাটি গ্রহণ নাকি খারিজ করা হল।’
প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং মো. বাবুলর করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাজে বাধাদান, বিনা উস্কানীতে বিসিসি’র কর্মচারীদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলিতে একাধিক ব্যাক্তির অঙ্গহানী এবং ৩০/৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আবেদনে ইউএনও ছাড়াও ১৮ আগস্ট রাতে তার বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যসহ আরও ৪০/৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরিশালে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও আঘাতপ্রাপ্ত হন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।