ওমিক্রন মোকাবিলায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ২১ নির্দেশনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৬, ২০২২, ০৮:৪৭ পিএম

ওমিক্রন মোকাবিলায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ২১ নির্দেশনা

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দেশটির সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও করোনার এই ভয়াবহ ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। দেশে ওমিক্রন মোকাবিলায় এবং পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২১টি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (অপারেশনস-২) মোহাম্মদ উল্ল্যা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্যই মাস্ক, গ্ল্যাভস, হেডকভার, ফেসশিল্ড ব্যবহার করতে হবে।

২. দায়িত্ব পালনকালে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন শেষে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৩. করোনা (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দ্রুত করোনার টিকা নিতে হবে। ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

৫. পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।

৬. দায়িত্বরত অবস্থায় শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

৭. পুলিশ স্থাপনায় সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ নিশ্চিত করতে হবে।

৮. প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৯. অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

১০. ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের আগে পোশাক ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

১১. ডাইনিং রুম, ক্যানটিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার করতে হবে।

১২. কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুত মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।

১৩. করোনা আক্রান্ত সদস্যদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

১৪. রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন।

১৫. আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সঙ্গে ইউনিট ইনচার্জ ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।

১৬. হাজতখানা জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে কারও লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

১৭. রেশন সামগ্রী, ওষধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

১৮. করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কর্তৃক প্রণীত এসওপি এর নির্দেশনা অনুসরণ এবং রোলকলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং প্রদান করতে হবে।

১৯. করোনা সংক্রান্ত নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।

২০. প্রত্যেক পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সব সদস্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে করোনার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা নিশ্চিত করতে হবে।

২১. করনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সব পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

Link copied!