কবর থেকে তোলা হল কুয়েট অধ্যাপকের লাশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১, ০৮:২৮ পিএম

কবর থেকে তোলা হল কুয়েট অধ্যাপকের লাশ

কবর থেকে লাশ উঠিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক সেলিম হোসেনের লাশ। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ তোলা হয়েছিল।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মরদেহ উত্তোলনের কথা থাকলেও লাশ উত্তোলন শেষ করতে রাত হয়ে যাবে ভেবে সেদিন আর উত্তোলন করা হয়নি।

এদিকে লাশের ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়নাতন্তের জন্য আবেদন করা হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। সেই কমিটির সদস্যরা হলেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম, চিকিৎসা কর্মকর্তা রুমন রহমান ও মাহফুজুর রহমান।

যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ফরেনসিক ময়নাতদন্ত করার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালের মর্গে কোনো ব্যবস্থা থাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে লাশ পাঠানোর অনুমোদন করা হয়েছে।”

লাশ তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ৬ ডিসেম্বর খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের পাঠানো একটি চিঠি হাতে পান কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কুয়েট কর্তৃপক্ষ সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলা হয়।

গত ৩০ নভেম্বর সেলিম হোসেন মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ কুষ্টিয়া কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে সেলিম হোসেনের ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

Link copied!