ক্যান্সারের ঔষধ ব্যবহার বাড়ছে মাদক হিসেবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৬, ২০২৩, ০৯:১৪ পিএম

ক্যান্সারের ঔষধ ব্যবহার বাড়ছে মাদক হিসেবে

নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবার বিকল্প হিসেবে মাদকাসক্তদের কাছে গুরুত্ব লাভ করেছে ট্যাপেন্টাডল। যা মূলত ক্যান্সার রোগীর ঔষধ। ট্যাপেন্টাডল ওপিওড মেডিসিন হিসেবে পরিচিত, যা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। একটি ওপিওড সাধারণত একটি চেতনানাশক হিসেবে পরিচিত। তবে মাদকসেবীরা এই ঔষধকে মাদক হিসেবে ব্যবহার করায় দিন দিন এর চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

গেল মাসে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে ৬ হাজার ৫০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মো. নাজমুল ইসলাম তপু (২৭) নামের একজন মাদক কারবারিকে আটক করেছিল র‌্যাব-১০।

সে সময় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ২০২০ সালের ৮ জুলাই ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিষিদ্ধ করে। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে ট্যাপেন্টাডলকে তফসিলভুক্ত করা হয় ।

ট্যাপেন্টাডল নিয়ে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘২০২১ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কোতোয়ালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৩৮০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও ১১ হাজার ৪০২ পিস অবৈধ সরকারি ওষুধসহ উত্তম রায় (৩৪) নামের একজনকে আটক করা হয়। এরপর এ বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে ৬ হাজার ৫০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মো. নাজমুল ইসলাম তপু (২৭) নামের আরেক মাদক কারবারিকে আটক করেছি আমরা। নিষিদ্ধ মাদক নিয়ে অভিযান আমাদের নিয়মিত তবে এই ঔষধ দেখতে খাওয়ার ঔষধ তাই খুব সহজেই বহন পরিবহন করা যায়। এই ঔষধ ভারত থেকে আসে। অতীতের আসামি আর বর্তমান আসামির কাছ থেকে তেমনই তথ্য পেয়েছি। ইয়াবা খেলে যে রকম ফিল তারা পায় এই ঔষধ খেলেও তা অনেকটাই নাকি একই হয়।’

ট্যাপেন্টাডল সর্ম্পকে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘এটা খুবই ভয়াবহ একটা ঔষধ, ক্যান্সারের রোগী ছাড়া কেউ যাতে কিনতে বা বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে নজর রাখা উচিত। এছাড়াও এটা ট্যাবলেট এবং তরল উভয় ফর্ম পাওয়া যায়। এটা একদিন বা দুদিন ব্যবহারের পরে অভ্যাসগত হয়ে পড়বে যে কেউ।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এটা ব্যবহারে অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস, লালত্ব, ফুসকুড়ি বা চোখের মধ্যে ব্যথা বা অস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, শক্ত বা টিচিং পেশি এবং পেশি কম্পন, ব্ল্যাক স্টুল, স্টুলের সাথে রক্ত, অস্থিরতা, হ্যালুসিনেশন, অস্বাভাবিক ক্লান্তি এবং দুর্বলতা, মাথা ব্যথা,শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা, উৎকণ্ঠা, তন্দ্রা বা মাথা ঘোরা, চুলকানি বা র‍্যাশ, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা না পাওয়া,ঘাম বৃদ্ধি,পেটে অস্বস্তি এবং ব্যথা হয়।’

Link copied!