বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ডিজেল ও গ্যাস বিক্রির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে ভারত। দেশটি আপত্কালে চাল, গমসহ কয়েক ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহেরও নিশ্চয়তা দিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ নিজের চাহিদা আগাম জানাবে ভারতকে। এরপর ভারত নিজেদের চাহিদা পূরণ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করবে।
মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য সুসংহত করার বিষয়েও তাদের মতৈক্য হয়।
এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে প্রতিবেশী দুদেশ সমঝোতা স্মারক সই করলেও বরাবরের মতোই ঝুলে থাকল তিস্তা নদীর বিষয়ে একই রকমের চুক্তি।
তবে শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তা চুক্তির জটও অচিরেই খুলবে বলে তিনি আশা রাখছেন।
শীর্ষ বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে সই হওয়া সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় হয়। পরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলবে ভারত। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ দমনে সহযোগিতায় জোর দিয়েছি। ১৯৭১ সালের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যে শক্তিগুলো আমাদের পারস্পরিক আস্থাকে আঘাত করে তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গত এক দশকে দুই দেশ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেছে। আমরা আশা করছি, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইসহ অমীমাংসিত সব বিষয়ের সমাধান খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’
শীর্ষ বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রী গতকাল ভার্চ্যুয়ালি বাগেরহাটের রামপালে সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন।