রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে গাড়ি থেকে ফেলে যাওয়া মরদেহটি শনাক্ত করেছে পুলিশ। যার মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল তার নাম আব্দুস সালাম বাহাদুর। তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যু না হত্যা-তা আমরা তদন্ত করছি।”
৫২ বছর বয়সী সালাম বাহাদুর পেশায় একজন ঠিকাদার। তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে। ঢাকায় ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর সড়কে তার বাসা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি আরও বলেন, “হাসপাতাল চত্বরের জরুরি বিভাগের সামনে মরদেহটি ফেলে রেখে যায়। মরদেহের পায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।” পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গতকাল শনিবার বেলা ১টার দিকে তিনি ধানমণ্ডির বাসা থেকে বের হন।”
এবিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।”
আব্দুস সালাম বাহাদুরের দলীয় পরিচয় জানতে জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে একটি গণমাধ্যমে তিনি এবিষয়ে বলেছেন, “আব্দুস সালাম বাহাদুর আমাদের দলের অর্থ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগে ঠিকাদারী করতেন। এরশাদ সাহেবের সময় সালাম জগন্নাথ কলেজে ছাত্র নেতা ছিলেন। পরে জেপি হওয়ার পর তিনি কিছুদিন দলের যুব সংগঠন যুব সংহতিতে ছিলেন। পরে মূল পার্টিতে যোগ দেন।”