‘গুলশান শপিং সেন্টার’ মার্কেট সিলগালা করার প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বর অবরোধের চার ঘণ্টা পর অবরোধকারীদের সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুপুর ১২টার দিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ মার্কেটটি সিলগালা করে দিলে ব্যবসায়ীরা গুলশান -১ চত্বর সিগন্যাল অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে গুলশান-বনানীসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনকারীদের বারবার অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করে পুলিশ সদস্যরা। সেটি না করে তারা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সাথে কথা বলতে চান।
পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের জোর করে সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জোর করে অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল চালু করলে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা তাদের ও যানবাহন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।
এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায় এবং পথচারীদেরও দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
বর্তমানে গুলশান-১ গোল চত্বর দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য সেখানে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের সিটি কর্পোরেশনের একটি মার্কেট সিলগালা করার কারণে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান নিয়ে সড়ক দখল করে রেখেছিল। আমরা তাদেরকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিজেদের দাবি জানানো ও বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছি। এ জন্য আমরা তাদের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই সময়ের মধ্যে কথা বলেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিল। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, তাই আমরা তাদের বেশিক্ষণ রাস্তা বন্ধ রাখতে না দিয়ে কিছুটা প্রেশার দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।
আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।