এবার কৃষি ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কৃষিজাত পণ্যের পাশাপাশি হিমায়িত পণ্য পরিবহনে থাকবে ফ্রিজিং সুবিধা। চীন থেকে কেনা হবে ১২৫টি বিশেষ কোচ।
আগামী বছরের শেষে কৃষি এক্সপ্রেস সার্ভিস চালুর প্রত্যাশা জানিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, “এতে উৎপাদিত পণ্য কৃষক নিজেই বিক্রি করতে পারবেন রাজধানীর বাজারে। সুদৃঢ় হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।”
দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি এখনো শতভাগই কৃষি ও কৃষি পণ্যের উপর নির্ভরশীল। বেশীর ভাগ কৃষকই তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করেন গ্রামীণ বাজারে। সেখান থেকে দুই তিন স্তরে মধ্যস্বত্বভোগীর হাত ঘুরে সেই পণ্য চলে যায় রাজধানীর বাজারে। ফলে ঢাকার বাজারে উচ্চদামে বিক্রি হলেও, বেশীরভাগ সময়ই ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন কৃষক।
কৃষক নিজে কিংবা মধ্যস্বত্বভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাজারে পণ্য বিক্রি করতে চাইলে সড়ক পথই একমাত্র ভরসা। এ পথের পরিবহন খরচে কুলিয়ে উঠতে পারে না তারা। কখনও কখনও দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে নষ্ট হয় পঁচনশীল কৃষি পণ্য।
এমন বাস্তবতায় স্বল্প খরচে ট্রেনের মাধ্যমে মালামাল পরিবহনে দীর্ঘদিনের দাবি প্রান্তিক চাষী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
কৃষিপণ্য চালান হবে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন, সেলক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে, জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।