চিত্রনায়ক ফারুকের ঋণ ছিল এক কোটি টাকা, মর্টগেজ ছিল তারও বেশি: খসরু

‘চিত্রনায়ক ফারুকের বিরুদ্ধে যে পাঁচ হাজার কিংবা সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগ উঠেছে, সেটি ভিত্তিহীন। তাঁর ঋণ ছিল এক কোটি টাকা। এর বিপরীতে মর্টগেজ ছিল তার চেয়েও বেশি।’ আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফারুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে এসব কথা বলেন প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য ও প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু।

খসরু আরো বলেন, একটি পক্ষ ছড়াচ্ছে তিনি পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি অথচ এটি একটি প্রোপাগান্ডা। তিনি এক কোটি টাকার মতো যে ঋণ নিয়েছেন তার বদলে ব্যাংকে যে সম্পত্তি মর্টগেজ রেখেছেন তার পরিমাণ অনেক বেশি। মর্টগেজ সম্পত্তি বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ তো শোধ হবে, তারপরও সেখানে যে টাকা থাকবে সেটা থেকে পরিবার পাবে।’ 

খসরু বলেন, চিত্রনায়ক ফারুক শুধু অভিনেতা হিসেবেই সফল ছিলেন না, নেতা হিসেবেও সফল ছিলেন। তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অভিভাবক। তিনি তাঁর এলাকার মানুষকেও অনেক ভালোবাসতেন।

গত দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক। গতকাল সোমবার ১৫ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চিত্রনায়ক ফারুক। ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড়পর্দা মাতিয়েছেন ফারুক। ১৯৭৫ সালে তার অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

• বিষয় :
• চিত্রনায়ক ফারুক