ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের আগাম কর মওকুফ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে ডিজেলে শুল্ক-কর মিলিয়ে ৩৪ শতাংশ কর প্রযোজ্য ছিল। এতে ডিজেল আমদানিতে মোট শুল্ক ৩৪ শতাংশ থেকে কমে ২২ দশমিক ৭৫ শতাংশ হবে।
রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় অর্থ মন্ত্রণালয়।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, ডিজেল আমদানিতে এখন ব্যবসায়ীদের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ, আগাম আয়কর ৩ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
তবে বাজারে এখনই জ্বালানির দাম কমছে না। সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কেনা তেলে শুল্ক কমায় তখন দাম কমানো হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, যতটুকু কর কমেছে, তাতে লিটারে দুই টাকা কমতে পারে। এতে বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পদক্ষেপটি স্থায়ী নয়। বিপিসিকে দেউলিয়াত্বের হাত থেকে বাঁচাতে এটা করতে হয়েছে। অবশ্যই এটা সমন্বয় করা হবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
এদিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বলছে, সব ধরনের কর প্রত্যাহার করলে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য কম করে হলেও ৩৬ টাকা কমানো সম্ভব। কারণে, বর্তমানে লিটারপ্রতি ১১৪ টাকার ডিজেল থেকে ৩৬ টাকা কর আদায় করছে সরকার।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করে। অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ এবং পেট্রোল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা লিটার করা হয়।