ঢাকাকে উছিলা করে রুশ-মার্কিন বাহাস, সতর্ক থাকতে হবে: বিশ্লেষক মত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ০৫:৩০ পিএম

ঢাকাকে উছিলা করে রুশ-মার্কিন বাহাস, সতর্ক থাকতে হবে: বিশ্লেষক মত

ইউক্রেন ইস্যুতে দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে চলছে তুমুল বিরোধ। চলমান এই বিরোধের মধ্যেই বাংলাদেশকে উছিলা পেয়েছে পরাশক্তি দুটি। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে দুই দেশের রেষারেষি প্রকাশ্যে এসেছে। চলছে কথার লড়াই।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ ঘটনায় বিব্রত বোধ করছে বাংলাদেশ। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মস্কো-ওয়াশিংটনের পল্টাপাল্টি বিবৃতি দেখতে চায় না ঢাকা। কূটনীতিকরা বলছেন, ঢাকাকে উছিলা করেই মূলতঃ রুশ-মার্কিন বাহাস চলছে। দুই পরাশক্তির এই বাকযুদ্ধে ঢাকার অবস্থান নিরপেক্ষ থাকা জরুরি।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ছবি: সংগৃহীত

চলতি মাসের গত ১৪ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় গিয়ে স্বজনদের সাথে সাক্ষাত শেষে ফেরার পথে বাসার প্রবেশপথে অনাহুত একদল লোক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন এবং তাঁর গাড়ির গতিও রোধ করেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সহায়তায় নিরাপদে শাহীনবাগ ত্যাগ করে সরাসরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত জরুরি ভিত্তিতে আমার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বললেন যে, তিনি এক বাসায় গিয়েছিলেন, আর সেখানে যখন গেছেন, কিন্তু বাইরে বহু লোক ছিল। তাঁরা তাঁকে কিছু বলতে চাচ্ছিলেন। তাঁর সিকিউরিটির লোকেরা তাঁকে তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। সেই নিরাপত্তা অনিশ্চয়তা থেকে তিনি তখন তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলেও যান এবং এতে তিনি খুব অসন্তুষ্ট হয়েছেন।’

পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ ঘটনায় ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি হয়।

এরই মধ্যে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয় তুলে ধরে ২২ ডিসেম্বর মস্কোয় বিবৃতি দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। সেখানে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেছেন, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের শামিল।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। ছবি: সংগৃহীত

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘রাশিয়া মনে করে ঘটনাটি আমেরিকান কূটনীতিকের তৎপরতার একটি ‘প্রত্যাশিত’ ফলাফল। বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকারের প্রতি যত্নবান হওয়ার অজুহাতে ক্রমাগতভাবে এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি যুক্তরাষ্ট্র প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।’

বাংলাদেশে ব্রিটিশ ও জার্মান কূটনৈতিক মিশনে তাঁর (আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের) সহকর্মীরা একই ধরনের কাজ করছেন উল্লেখ করে মারিয়া জাখারোভা ওই ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, ‘তারা বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রকাশ্যে সুপারিশ করছেন।’

মারিয়া বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলে ক্রমাগত অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালীউর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতের কর্মকাণ্ড কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার বহির্ভূত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত ওয়ালীউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এই বিশেষ দূত বলেন, ভিয়েনা কনভেনশনের আইনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, কোনো কূটনীতিক যে দেশে নিযুক্ত হবেন তিনি ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে বা মন্তব্য করতে পারবেন না। যদি কিছু বলেন তাহলে ওই দেশের সরকার ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের দেশে দেখা যায় নির্বাচন এলেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার মানবাধিকার রক্ষার কথা বলে সরকারের ওপর  এক ধরণের প্রভাব খাটাতে চায়। এটা কোনোভাবেই কূটনৈতিক শিষ্ঠাচারের মধ্যে পড়ে না।

পিটার ডি হাসের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের একটা টানাপোড়েন চলছে। এটি আসছে জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে পেশাদার এই কূটনীতিক বলেন, ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বাহাসে বাদানুবাদে জড়ালেও এখানে বাংলাদেশ আসলে কোনো বিষয় না। বাংলাদেশ এখানে একটা উছিলা মাত্র। তাঁরা এখন যেখানে যাকে পারছে ঘায়েল করে যাচ্ছে। তাঁরা বাংলাদেশকে উছিলা করে পরস্পরের বৈরিতা প্রকাশের একটা ইস্যু পেয়েছে। সেটা নিয়ে কথা বলছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের কোনেভাবেই জড়ানো ঠিক হবে না। জড়ালে দেশে চলমান বিভাজন আরও বেড়ে যাবে যা নির্বাচনে  প্রভাব পড়তে পারে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, মানবাধিকার, নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে  পিটার ডি হাস ছাড়াও জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুর, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির বক্তব্য নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বিবৃতি প্রসঙ্গে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন দ্য রিপোর্ট ডটি লাইভকে বলেন, ‘এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে রশিয়া বাংলাদেশের প্রতি দরদ থেকে এই কথা বলছে। দরদ থাকলে  রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকত। আমরা দেখছি তাঁরাসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের সাথে না থেকে মিয়ানমারের পক্ষেই রয়েছে। আর অব্যাহতভাবে মিয়ানমারকেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আর এ কারণেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে না।’

সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের দেওয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশ বিব্রত। পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন আরও বলেন, তাঁরা তাদের বক্তব্য দেবেন জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী। আমরা চাই না রাশিয়া-আমেরিকা কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাক। আমরা মনে করি এটা তাদের বিষয় নয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন,বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বিচার বিভাগ নিয়ে মাতব্বরি করার কোনো সুযোগ বিদেশিদের নেই। আমাদের রক্ত কণিকায় মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার বিদ্যমান রয়েছে।

 

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই কথার সাথে একমত পোষণ করে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৪ ডিসেম্বরের ইস্যু নিয়ে সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়তো কথা বলেছে। আমার মনে হয় এটা নিয়ে যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। এখন দুই দেশ যত বেশি কথা বলবে সেটা আমাদের জন্য আরো ব্রিবতকর হবে। তাঁরা থামবে বলে আমার মনে হয় না।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া-কারোর বিবৃতিতে ঢাকার খুশি হওয়া চলবে না জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মো. শহীদুল হক দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, মস্কে-ওয়াশিংটনের এই বিবৃতি-যুদ্ধ, ওদের নিজস্ব খেলা। আর ওই খেলা থেকে  বাংলাদেশ কোনো লাভবান হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার এই খেলার মাঠ হিসেবে তাঁরা আমাদের দেশকে কেন বেছে নিল তা আমার কাছে এখনও রহস্য বলে মনে হচ্ছে। কারণ খেলার মাঠ হিসেবে বাংলাদেশ তাদের কাছে অবশই গুরুত্বপূর্ণ নয়।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ও সচিব একে এম আতিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত 

সাবেক সচিব ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার একে এম আতিকুর রহমান দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ঘটনায় রুশ প্রশাসনের দেওয়া বিবৃতির প্রেক্ষাপটে  মস্কো বা ওয়াশিংটন-কারো পক্ষেই ঢাকার অবস্থান করা ঠিক হবে না। ১৯৭১ সালে আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে কোল্ড ওয়ারের সুবিধা পেলেও এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। দেশের স্বার্থ আগে ভাবতে হবে।  দেশের বেশিরভাগ ব্যবসা বাণিজ্য সব পশ্চিমা ও ইউরোপের দেশগুলোর সাথে। তাই আমাদের কোনোভাবেই তাদের যুদ্ধের মধ্যে জড়ানো ঠিক হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্রই সরকারের অনুসরণ করা উচিত মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের জড়ানো কোনোভাবেই উচিত হবে না। যেকোনো একপক্ষ কে বেছে নিলে উদ্ভূত পরিস্থিতি আমাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবৃতির মাধ্যমে বোঝা যায়, পৃথিবী আর এককেন্দ্রিক নয়, বরং আমরা বহুমুখী শক্তি ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বলে রাশিয়া অন্যদের কাছে বার্তা দিতে চাইছে। যোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে রাশিয়া তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে। এই দুই পরাশক্তির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতির অংশ আরও অনেক গভীরে চলে গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আরেক অধ্যাপক ও আন্তজার্তিক বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আরেক অধ্যাপক ও আন্তজার্তিক বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেনের মতে, এমনিতেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভাজন রয়েছে, ফের আবার দেশের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে তৈরি হওয়া হস্তক্ষেপ ওই রাজনৈতিক বিভাজনকে আরও কয়েকগুণ  বেশি বড়িয়ে দিলো।

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এই সদস্য আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি কিংবা কোনো স্বার্থ নিয়ে বরাবর একটি দেশ হস্তক্ষেপ করতে চাচ্ছে। এটি স্পষ্ট হওয়ার পর রাশিয়া বিবৃতির মাধ্যমে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা দেশটিকে বিবৃতির মাধ্যমে সতর্ক করে দিয়েছে। তবে এই বিবৃতিতে ঢাকার খুশি বা বিরক্ত হওয়া যাবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, এ বিষয়ে আর কথা না বলাই মঙ্গলজনক হবে।

Link copied!