এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ০৬:৩৫ পিএম
তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে দেশের তাপমাত্রা। এর মধ্যেই জানা গেল কবে হতে পারে বৃষ্টি। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম দিনেও তীব্র গরম দেশজুড়ে। বৃষ্টির অপেক্ষায় দেশ।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক সপ্তাহে তাপমাত্রা কমার কোনো আভাস নেই, সম্ভাবনা নেই বৃষ্টিরও। ঈদের দিন বা ঈদের পর বৃষ্টি হতে পারে। সহসাই তীব্র এ তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি নেই।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে দেওয়া সবশেষ তথ্যে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহজুড়ে গরমের এ দাপট থাকবে। আগের দিনের চেয়ে এদিন বেশি গরম অনুভূত হবে। এরপর মেঘের দেখা মিলতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, কোনো এলাকার পাশাপাশি দুটি স্টেশনে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে ওই এলাকায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। ঢাকায় বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা রয়েছে; আর সাত জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে।
ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ শহর এলাকায় জলাভূমি কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এছাড়াও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের অত্যধিক ব্যবহারে গরম আরও বাড়ছে।
এদিকে টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। জেলায় টানা ১২ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে দুর্বিষহ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে, দেশজুড়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের শঙ্কা বেড়ে গিয়েছে। শিশু, বৃদ্ধ ও যারা দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা এই গরমে বেশি রয়েছেন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে। অবজ্ঞা করলে হতে পারে মৃত্যুও। তাই বাড়তি তাপমাত্রায় সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হিট স্ট্রোকের রোগী হঠাৎ করেই অজ্ঞান হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, মাথা হালকা অনুভব করা। এছাড়া হতে পারে খিঁচুনি, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস, বমিভাব কিংবা বমি হওয়া, রোগী অসংলগ্ন আচরণ করা।
চিকিৎসকরা বলছেন, হিটস্ট্রোক এড়াতে যতদূর সম্ভব ঘরের বাইরে বের না হওয়াই ভালো। এমন উপসর্গ দেখা দিলে পর্যাপ্ত বাতাস আছে এমন ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে যেতে হবে। গোসল করা আদৌ সম্ভব না হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে গা মুছে নিতে হবে। পড়তে হবে ঢিলেঢালা পোশাক। ধীরে ধীরে পান করতে হবে মৃদু ঠাণ্ডা পনি। তবে খিঁচুনি দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। বেশি বেশি পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।