দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাল্যবিবাহে এখনও শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি–২০২৩ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশে ১৮ বছরের আগেই ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) ‘৮০০ কোটি জীবন, অপরিসীম সম্ভাবনা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন গত ১৯ এপ্রিল বৈশ্বিকভাবে প্রকাশিত হয়। সেখানে ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাল্যবিবাহের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
বিশ্বে বাল্যবিবাহের দিক থেকে এক ধাপ উন্নতি হয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে পঞ্চমে। গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। নতুন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর অবস্থানও পঞ্চম।
শীর্ষ চারটি অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার আরও পাঁচটি দেশ। সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয় নাইজারে। দেশটিতে বাল্যবিবাহের হার ৭৬ শতাংশ। এরপর ৬১ শতাংশ বাল্যবিবাহের হার নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র (সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক) ও চাদ। এরপর আছে মালি (৫৪ শতাংশ), মোজাম্বিক (৫৩ শতাংশ) ও দক্ষিণ সুদান (৫২ শতাংশ)। আর বাল্যবিবাহ নেই সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, বেলজিয়াম, লিথুয়ানিয়া এবং যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে।
ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্রিশ্চিন ব্লুখস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৭৪টি শিশুর জন্ম দিচ্ছেন ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মায়েরা। বাল্যবিবাহের কারণে মা ও নবজাতক মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে কম বাল্যবিবাহ ঘটছে মালদ্বীপে— মাত্র ২ শতাংশ। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কায় ১০, পাকিস্তানে ১৮, ভারতে ২৩, ভুটানে ২৬, আফগানিস্তানে ২৮ এবং নেপালে ৩৩ শতাংশ বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে।