দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সীতাকুণ্ডের আগুন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৫, ২০২২, ০৯:০৭ পিএম

দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সীতাকুণ্ডের আগুন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন ২২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছ। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বিষয়টি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি কোম্পানি যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়ে ২২ ঘণ্টা পর বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন আগুন নির্বাপণের কাজ চলছে।”

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রত্যেকটি কনটেইনার খুলে চেক করছেন। কনটেইনারগুলো থেকে ফের আগুনের সূত্রপাত হতে পারে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

প্রনঙ্গত, শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শতাধিক ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ও অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।

তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিএম ডিপো থেকে ৪০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন যে মরদেহগুলো উদ্ধার হচ্ছে সেগুলো আগুনে পুড়ে বীভৎস রুপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। 

মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার জোনের সহকারী (এসি) কমিশনার শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠাচ্ছে। সেখানে মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। 

Link copied!