আগস্ট ১, ২০২৩, ০৪:৪১ পিএম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত দুই খুনিকে ফেরত না দেওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কড়া সমালোচনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আত্মস্বীকৃত খুনিকে রেখে দেওয়ার ঘটনা এই দুই দেশের জন্য ‘লজ্জার’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার(১ আগস্ট) শোকের মাসের প্রথম দিন রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এখনও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে আছে এবং আমরা দুটি কেইস জানি। একজন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, আরেকজন কানাডায় আছেন। বাকি তিনজনের খবর আমরা ঠিক জানি না। নানা অজুহাত দেখিয়ে তাদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।”
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “যারা আত্মস্বীকৃত খুনী, তারা ওই দুটি দেশে আছে। আর ওই সব দেশ মানবিকতার কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, কিন্তু আত্মস্বীকৃত খুনিকে ওরা রেখে দিয়েছে। তাদের জন্য এটা লজ্জার।”
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে দুই দফায় ছয় জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও আরও পাঁচ খুনি এখনও অধরা রয়েছে।
তারা হলেন- আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এবিএমএইচ নূর চৌধুরী।
এই পাঁচ খুনিদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন।এই দুই খুনিকে ফেরতক দেওয়ার ব্যাপারে বাংলোদেশ বারবার দাবি জানালেও যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকার তাদের ফেরত পাঠায়নি।
দুই খুনিকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সরকার নানা ‘বাহানা’দিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ কানাডার সঙ্গে বহু আলাপ হয়েছে। আমরা কোর্টে গিয়েও নূর চৌধুরী সম্পর্কে জানতে চেয়েছি, তথ্য দেয় নাই। একটা না একটা বাহানা করে, এখন বড় বাহানা হচ্ছে যে আমরা আমাদের কোর্টে ওকে ফাঁসি দিয়েছি, ফাঁসির রায় হয়েছে। তবে, স্কোপও আছে। সে এখানে এসে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারে। সেই সুযোগও আছে। কিন্তু কানাডা বলে, যে সমস্ত দেশে ফাঁসির আইন আছে, সেই সব দেশে তারা পাঠাবে না“
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমেরিকার মত দেশ, যেখানে আইনের শাসন বলবৎ আছে। আইনের শাসনের জন্য সবসময় সোচ্চার। সেই রকম একটা দেশ খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রাখছে।”
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “একটা খুনি না, আরেকটা খুনি ওখানে আছে। আল বদর রাজাকার, আরেকটি ওখানে আছে। খুনিদেরকে আশ্রয় দিয়ে রাখছে, এটা আমার কাছে খুব তাজ্জব মনে হয়। কারণ আমেরিকা হচ্ছে আইনের দেশ, সেখানে একটা বেআইনি লোককে আশ্রয় দিয়ে রাখছে, এটা দুঃখজনক।”