জুলাই ৩, ২০২১, ০৮:৩৮ পিএম
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টিকাদানের পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া হবে। দেশে বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন সব আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ নেতার সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষ ও স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। পিছিয়ে থাকা মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে।
বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা বলেন, ‘বিচারব্যবস্থার যত উন্নয়ন সব আওয়ামী লীগের সময় হয়েছে।বিএনপির আমলে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েও বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি সরকারের সময় এক ছাত্রদল নেতার ঘাড়ে হাত রেখে আলোচনা করে বিচারপতির রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।’ ভোট চুরির সুযোগ তৈরির জন্য প্রধান বিচারপতির মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা বিএনপি করেছিল বলেও তিনি জানান।
‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মন্তব্য করে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের অনুকূলে আরও ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। আমরা আরও ১ লাখ ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।’
বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২০ সালে মুজিববর্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা সময় নিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ ঘর পাবে, ঠিকানা পাবে।’
টিকা দিয়েই স্কুল-কলেজ খুলে দেবো
করোনা সংক্রমণের অতিমাত্রার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই স্কুল-কলেজ খুলতে চায় সরকার।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখানে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার দাবি উঠছে। কিন্তু আসল কথা হলো যাদের বাচ্চারা স্কুল-কলেজে যান, তারাই কিন্তু চাচ্ছেন না এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। যাদের ছেলে-মেয়েরা যায় না, তারাই বেশি কথা বলছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এরই মধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছি। শিক্ষার্থীদেরও দিয়ে দেবো। স্কুল বন্ধ আছে। কিন্তু পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়। আমরা সংসদ টিভিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দিয়েই আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দেবো। লেখাপড়া শিখবে। কিন্তু জেনেশুনে এর জন্য একটি শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবো কি না, সেটা চিন্তা করতে হবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।