মার্চ ১৪, ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ কারো কাছে কোনো করুণা চায় না; ন্যায্য অধিকার চায় বলেও তিনি জানান।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুম হলে বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত সহজ শর্তে অর্থায়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও উন্নত দেশগুলোকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। আমরা কারো কাছে কোনো করুণা চাই না, দয়া ভিক্ষা চাই না, আমরা ন্যায্য অধিকার চাই।”
অনেক অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রকল্পের উন্নয়নকে অকার্যকর করে তুলছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হলো এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে আমরা হতাশ হয়ে লক্ষ্য করছি যে, অনেক অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে; যা বেশিরভাগ প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন অর্থায়নকে অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর করে তুলছে। অর্থাৎ একাধিক অনৈতিক ঘাতটির প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।”
বাংলাদেশ এরইমধ্যে বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখিয়েছে-উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্প আমরা করে যাচ্ছি। পদ্মাসেতু নির্মাণ ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরব, মর্যাদা ও যোগ্যতার প্রতীক।”
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী মন্তব্য করে সরকারপ্রধান আরও বলেন, “৫০ বছর ধরে এডিবি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। ১৯৭৩ সালের জাতির পিতার নেতৃত্বে এডিবির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়। গত ৫০ বছরে আমাদের যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, কাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক; প্রতিটি ক্ষেত্রে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে।”
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে এডিবির সহায়তা তিন গুণ বেড়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশে এডিবির সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এডিবির পোর্টফলিওতে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক।”