চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় দূষণ করলে দুই বছরের জেল এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২২’ সংসদে পাস হয়েছে ।
মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২২’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে বিলটি কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়, এ আইনের অধীনে কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে (যার শাস্তি উল্লেখ নেই এমন ক্ষেত্রে) সর্বোচ্চ ছয় মাসের শাস্তি এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।
বন্দরের ভাড়া ও টোল আদায়ের বিষয়ে সরকারের কাছে অনুমোদন নিয়ে তফসিল করতে হবে। এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়যোগ্য ভাড়া, টোল, রেইট, ফি ও মাশুল মওকুফের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে না।
নতুন আইনে বন্দরের উন্নয়ন সম্প্রসারণে একটি তহবিল করার কথা বলা হয়েছে। বন্দর পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনধিক চার সদস্যের একটি পরিচালনা প্রশাসন বোর্ড রাখা হয়েছে। প্রতি দুই মাসে অন্তত একটি বোর্ড সভা করার বিধান রয়েছে নতুন আইনে।
পাস হওয়া বিলে আরও বলা হয়েছে, বন্দর এলাকায় কোনো জাহাজ বা যান্ত্রিক উপকরণের কারণে যদি বর্জ্য তৈরি হয়, তবে তার মালিককে বা মাস্টারকে বা প্রতিনিধিকে তা অপসারণ করতে হবে। অপসারণে সময়সীমা অতিক্রম করলে মাশুল দিতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই বর্জ্য অপসারণ করবে। এর জন্য যে খরচ হবে, তা দ্বিগুণ দায়ীকে দিতে হবে।কোনো ভাড়া, জরিমানা, ফি, টোল, মাশুল বা ক্ষতিপূরণ অনাদায়ী থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার নিয়ন্ত্রণে থাকা পণ্য নিলাম করে অর্থ আদায় করতে পারবে।
এই বিলের অধীন অপরাধগুলো মোবাইল কোর্টেও বিচার করা যাবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এই বিলের অধীনে সংঘটিত কোনো অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করবে না।