নরসিংদীর হাজিপুরে সাবেক ইউপি সদস্য সুজিত সুত্রধরকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় নিহতের ছেলে সুজনসহ ২ জন আহত হয়েছেন।
নিহত সুজিত সুত্রধর হাজিপুর ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন এবং হাজিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমার জের ধরে ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে তার লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান সুজিত। এ সময় ছেলের সঙ্গে ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন তিনি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী দা, ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুজিতের ওপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। তার গলা কেটে দেন। এ সময় তার ছেলে ও দোকানের কর্মচারী এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করা হয়। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজিতকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে সুজন সুত্রধর অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবার সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টুর সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে চেয়ারম্যানের নামে বাবা একাধিক মামলা করেন। মামলার জেরে বাবার ওপর একাধিকবার হামলাও করেছে পিন্টু চেয়ারম্যান। মামলা তুলে না নিলে বাবাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়ে আসছিল।’
নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী বলেন, ঠিক কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনো পরিষ্কার নই। তবে এ দুপক্ষের মধ্যেই মামলা মোকদ্দমা ছিল। হত্যার রহস্য ও আসামি গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।