বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার (২২ মার্চ) সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। সোমবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় নেপাল এয়ারের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানান।
নেপালের প্রেসিডেন্টের সফরকালে তাঁর প্রতিনিধিদলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানানো হয় ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে। নেপালের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়।
গার্ড পরিদর্শন শেষে নেপালের প্রেসিডেন্টকে লাইন অব প্রেজেন্টেশনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, তিনবাহিনী প্রধান, আইজিপি এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
নেপালের প্রেসিডেন্টের সফর উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকা সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। টার্মিনালের উপরে এবং সামনে বাংলাদেশ ও নেপালের বিপুল সংখ্যক পতাকা দিয়ে সাজানো হয়।
বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী বিমানবন্দর থেকেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হন মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
নেপালের প্রেসিডেন্ট ২২ ও ২৩ মার্চ দুইদিন ঢাকায় অবস্থান করবেন। সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর পরপরই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাৎ শেষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক পর্বেরও আয়োজন করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় নেপালের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। উভয় রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলোতে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাত, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
ওইদিন রাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নেপালের প্রেসিডেন্ট এবং তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
২৩ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এরপর তিনি কাঠমান্ডু ফিরে যাবেন। নেপালের প্রেসিডেন্টের সফরকালে তাঁর প্রতিনিধিদলে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।