দেশের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ নুর-ই-আজম মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'চিত্রনায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নাজমুল রাজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা দুটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া রাজের পর্নোগ্রাফির একটি মামলা আমাদের কাছে আছে। সেটি তদন্তে কাজ চলছে।'
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে আলোচিত নায়িকা পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে র্যাব বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটায় র্যাব পরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদনের জন্য ঢাকা মহানগর মূখ্য হাকিম আদালতে হাজির করেন। র্যাবের আবেদনের ভিত্তিতে পরীকে ৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৪ আগস্ট) পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের অভিযানের পর র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, পরীর বাসা থেকে ৩৩ বোতল বিভিন্ন ধরণের মদ, ১৫০ টিরও বেশি বিদেশি মদের ব্যবহৃত বোতল, ইয়াবা, এলএসডি ও আইস উদ্ধার কার হয়েছে। এরপরই পরীকে আটক করা হয়েছে। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমনির বাসায় এসব মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনসিদ্ধ পদ্ধতিতে পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়, যা একটি লাইসেন্সে কাভার করে না। পাশাপাশি তার বাসায় লাইসেন্সের একটি কপি পেয়েছি। তবে তা আইনসিদ্ধ নয় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল।