জুলাই ২৫, ২০২২, ০৬:০৬ পিএম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৪ হাজারের বেশি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। ব্যাপকভাবে স্বীকৃত না হলেও দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া, যা এটিকে একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত করেছে।
‘বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এসব বলেছে এই দুই সংস্থা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে এত মানুষ প্রাণ হারায়, এটি হৃদয়বিদারক। আমরা জানি যে এসব মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং প্রতিটি শিশুর ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যক্তি, কমিউনিটি ও সরকারের প্রতি আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর পানিতে ডুবে ২ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। পানিতে ডুবে মৃত্যুর প্রতি ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টি ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়, যেখানে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশে যেখানে প্রতিবছর বন্যার কারণে স্থলভূমির বিশাল একটি অংশ তলিয়ে যায়, সেখানে সচেতনতা ও সাঁতারে দক্ষতার অভাব জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। গ্রামীণ এলাকার শিশুরা, যারা জলাশয়ের আশপাশে বেড়ে ওঠে, তারাও প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডা. বারদান জং রানা বলেন , পানিতে ডোবা একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ এবং বিশ্বব্যাপী দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। বাংলাদেশে শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণগুলোর একটি পানিতে ডুবে যাওয়া। ডব্লিউএইচও ডুবে যাওয়া রোধে বিভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপ সুপারিশ করে এবং একটি মাল্টিসেক্টরাল উদ্যোগের প্রচার করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্যপ্রমাণ বলে, খুব সহজেই পানিতে ডুবে যাওয়া রোধ করা যায়। পরিবার ও কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সাঁতারে দক্ষ করে তোলা, প্রাক্-স্কুলের শিশুদের জন্য শিশুযত্ন কেন্দ্রের সুবিধা নিশ্চিত করা এবং প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার করতে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও বিনিয়োগ এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।