প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব: ওবায়দুল কাদের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৫:২৬ পিএম

প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ পালাতে জানে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব পালিয়ে আছেন আপনারা, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে পালিয়েছে লন্ডনে। আমরা পালাতে জানি না। এই দেশেতে জন্ম আমার এই দেশেতে মরি। প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব।”

রবিবার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে মহানগর ও জেলা শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বিএনপির সাম্প্রতিক পদযাত্রা কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির এখন চলছে পদযাত্রা। পদযাত্রা মানে শেষযাত্রা, অন্তিম যাত্রা ও মরণযাত্রা। মরণযাত্রার কথা শুনেছেন না? মরণযাত্রা এখন হলো বিএনপির। তারা এখন সরকারকে পালাতে বলে। সরকার পালাবার পথ নাকি খুঁজে পাবে না”

সরকারের উন্নয়নে বিএনপি’র জ্বালা ধরছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “সামনে আরও জ্বালা আছে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও একদিনে শতসেতু উদ্বোধনের জ্বালা। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। গ্রাম হয়েছে শহর, এটা আরেক জ্বালা। জ্বালায় মরে ফখরুল আর বিএনপি।”

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “ খেলা হওয়ার আগেই তো বিএনপি পালাতে শুরু করেছে। আগেই তো মরণযাত্রা শুরু হয়েছে। খেলা হবে দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার, হত্যা ষড়যন্ত্র, সাম্প্রাদায়িকতার বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচনের আগে ফাইনাল খেলা হবে। তৈরি হয়ে যান ফখরুল সাহেব।”

এর আগে, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় জনসভার কার্যক্রম।  এরপর দলের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে স্থানীয়ং ও কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে সকাল থেকে রাজশাহীতে আসা শুরু করেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। স্থানীয় নেতাদের দেওয়া নানা রঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে তাঁরা জনসভা মাঠে প্রবেশ করেন। বেলা ১১টার মধ্যে মাঠ ভরে যায়। নেতা-কর্মীরা বাস, ট্রেন, ট্রাক, লেগুনা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্নভাবে সমাবেশ স্থলে পৌঁছান।

Link copied!