বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি ফের পিছিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান পরবর্তী শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামি ১২ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন। এ নিয়ে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানির তারিখ ৪১ বার পেছাল।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অসুস্থ খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর সবাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয় তারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অন্যদিকে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২০২১ সালের ১৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতা অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।