যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করা দলের দায়িত্ব বলে নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। দলে পদ-পদবি পেয়ে তা ব্যবহার করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি না করার জন্যও তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
রবিবার হাটহাজারী মডেল সরকারি পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, “পদ-পদবি পাওয়ার জন্য উপটোকন দিতে হবে না। আর্থিক সহায়তা লাগবে না। সুতরাং আমাদের প্রত্যাশা, পদ-পদবি পেয়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করবেন না।”
দলের মধ্যে ভূঁইফোড়দের রাজত্বের অবসান করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সামনে আমাদের নির্বাচন। যতদিন বাংলাদেশে দুখী-দরিদ্র মানুষ থাকবে, ততদিন যুবলীগের মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘যুবলীগের দুটি দায়িত্ব। প্রথমত, যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, রক্ষা করতে হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার সব অর্জনকে।”
নেতাকর্মীদের রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের সামনে অনেক প্রতিকূলতা। আবার শান্তির বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুব সমাজকে যুবশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।”
দুর্নীতিতে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়ে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, “দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এটা আমাদের প্রজন্মকে করতে হবে। যুবলীগকেই করতে হবে। যুবলীগ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রিত সমাজব্যবস্থা গঠন করবে। আর ধাপে ধাপে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আত্ম সংশোধনের মাধ্যমে দুর্নীতিকে বর্জন করা সম্ভব।”
এস এম আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং উত্তর জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, জাতীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম।