জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে সংসদে বিল পেশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। পরে বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮৬ সালের একটি অধ্যাদেশ দিয়ে বর্তমানে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সামরিক আমলে প্রণীত ওই আইন বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
অবশ্য ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯’ এর অধীনে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা বর্তমান নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। নতুন আইনের ফলে এসএসএফ তাদের নিরাপত্তা দেবে।
বিলে জাতির পিতার পরিবারে সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বিলে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য হিসেবে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের সন্তানাদি ও ক্ষেত্রবিশেষে ওই সন্তানাদির স্বামী বা স্ত্রী এবং তাদের সন্তানাদি।
আগের বিষয়গুলোকে প্রস্তাবিত আইনে রাখার পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান।
সরকারি গেজেট দিয়ে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও এই আইনের অধীনে নিরাপত্তা পাবেন।
বিলে বলা হয়েছে, এসএসএফের তত্বাবধান ও নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত থাকবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, তল্লাশি, আটক, ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসহ থানার একজন ওসির যেসব ক্ষমতা আছে এসএসএফের একজন কর্মকর্তার এই আইনের অধীনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সারাদেশে সেই ক্ষমতা থাকবে।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন এসএসএফ তাদের দৈহিক নিরাপত্তা দেবে। এসএসএফ তার কাজের প্রয়োজনের সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেও সহায়তা চাইতে পারবে। যাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে তাদেরকে তা দিতে হবে বলে খসড়া আইনে বলা হয়েছে।
জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এ যাই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।