ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ১২:৫২ পিএম
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বাংলা সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্যের ওপর আঘাত করে পশ্চিম পাকিস্তানি শোষকেরা। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় বাংলা তরুণ সমাজ, নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের দিক নির্দেশনা এগিয়ে চলে ভাষা আন্দোলন, এর জন্য বারে বারে জেলে যেতে হয় তাঁকে। এমনটিই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি)রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে ‘২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস থেকে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেলো যেভাবে?’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। একটি ভিডিও সংযুক্ত করে ওই পোস্ট দেন তিনি।
দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠকদের জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস থেকে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেলো যেভাবে?
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর পর ২০০০ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে বাংলা সংস্কৃতি-শিল্প-সাহিত্যের ওপর আঘাত করে পশ্চিম পাকিস্তানি শোষকেরা। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় বাংলা তরুণ সমাজ, নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের দিক নির্দেশনা এগিয়ে চলে ভাষা আন্দোলন, এর জন্য বারে বারে জেলে যেতে হয় তাঁকে। শত বাধার মুখেও বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেন শেখ মুজিবুর রহমান। এই আন্দোলনের পথ ধরেই শুরু হয় আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, আসে স্বাধীনতা।
আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ভাষাকে এনে দেন অনন্য সম্মান। সারা পৃথিবীতে সকল ভাষার মানুষের কাছে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন একটি বিশেষ দিন।
যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি প্রাণের ভাষা
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তাদের জন্য গভীর শ্রদ্ধা।’