জুন ১৫, ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম
চট্টগ্রামে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’র নামে স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী, খুনি-সন্ত্রাসীদের আঁতুড় ঘর; যুবদল-ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল, ছবি ভাঙচুরে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে আওয়ামী যুবলীগ।
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাংলাদেশের তরুণ সমাজ-যুব সমাজের নষ্টের মূলে ছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তরুণ সমাজ ও যুব সমাজকে অবৈধ টাকা দিয়ে, অবৈধ অস্ত্র দিয়ে, মাদক-হিরোইন দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তারই প্রেতাত্মা এই যুবদল-ছাত্রদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের খুনি-সন্ত্রাসী বাহিনী।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যেমন তরুণ সমাজকে, যুব সমাজকে ধ্বংস করেছিলেন ঠিক একইভাবে খুনি তারেক রহমান আবারও যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। তারুণ্যের সমাবেশের নামে খুনি, সন্ত্রাসী, চাঁদবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ডাকাত, হিরোইনখোর, গাঁজাখোর দিয়ে সমাবেশ করছে। যার কারণে বিকারগ্রস্ত ঐ যুবদল-ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের কাছে দেশের স্বাধীনতার কোন মূল্য নাই, মুক্তিযুদ্ধের কোন মূল্য নাই, যিনি এদেশকে স্বাধীন করলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তাদের কোন শ্রদ্ধাবোধ নাই। এরা সন্ত্রাসী, এরা দেশবিরোধী। তাদেরকে প্রতিহত করার সময় এসেছে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করবো-চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশের নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের ছবি নিয়ে তৈরি ম্যুরাল যারা ভাঙচুর করেছে অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
এসময় তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি-জামাত একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এরা কখনও ভাল হবে না। ওরা চট্টগ্রামে ভাংচুর করেছে। ওরা অন্যান্য বিভাগেও একই তা-ব চালাবে। যদি এই সকল খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হয়, তাহলে বিএনপি-জামাত যেখানেই কর্মসূচি দিবে আমরা যুবলীগ সেখানেই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। যুবদল-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা যেখানে ভাংচুর আর সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে আমরা সেখানে রাজপথেই তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবো।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন।