বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : ওআইসি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২০, ২০২১, ১১:০৯ পিএম

বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত : ওআইসি

বাংলাদেশকে ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং শান্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)’র মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওথাইমিন।

ওআইসি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে। মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য ওআইসির সাথে সর্বদা দৃঢ় অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছে তারা। আমি বাংলাদেশের এই সুন্দর মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।’

বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে শনিবার এক ভিডিও বার্তায় ৫৭টি মুসলিম দেশের জোটের প্রধান এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দশ দিনব্যপী বিশেষ কর্মসূচির চতুর্থ দিনের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান ওআইসির মহাসচিব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বার্তা প্রেরণ করতে পারাটা তার সৌভাগ্য।

আল-ওথাইমিন বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশ মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী দিক-নির্দেশনায় একটি স্বাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সদ্যসৃষ্ট দেশ ওআইসির সদস্য হিসাবে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।

মহাসচিব বলেন, তখন থেকে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে এবং অর্থবহভাবে সংস্থার কার্যক্রমে অবদান রাখছে, ইসলামী সহযোগিতা ও সংহতির মূল উদাহরণ হিসাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে নতুন জন্ম নেয়া দেশকে উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ও ইসলামী বিশ্বের মধ্যে সম্পর্কের অগ্রণী ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ওআইসির দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন এবং এটি ছিলো যৌথ ইসলামী কর্মকা- এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি উন্নয়নের ঐতিহাসিকভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

আল-ওথাইমিন বলেন ১৯২০ সালে মার্চ মাসে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের জাতির পিতা ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে বৈষম্য ও অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর আজীবন সেবা দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এ লগ্নে সর্বদা স্মরণীয় ও প্রশংসিত।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বৈষম্য ও অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তার পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়ন করতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। আল-ওথাইমিন এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং জনগণকে অভিনন্দন জানান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফরাসি সিনেটর এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আন্তঃসংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মাদাম জ্যাকুলিন দেরোমেদির রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তাও অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়।

Link copied!