বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ আরও কমে গেলো

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৫:১৭ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ আরও কমে গেলো

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ আরও কমে গেল। দেশে ডলার সংকট চরম আকার নিয়েছে। এ সংকট দূর করতে রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এতেই টান পড়ছে রিজার্ভে। এ মূহুর্তে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে গেছে। এখন এর আকার ৩৫ বিলিয়নে নেমে এসেছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ৬০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। আর এতেই রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৯৮ বিলিয়ন ডলারে। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরে মোট সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার বিক্রি করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৬৭ কোটি ২৭ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম তিন মাস) যেখানে এসেছিল ৫৪০ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। তারও আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্সে এসেছে ৬৭১ কোটি ৩২ লাখ ডলার। করোনার মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

সম্প্রতি ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাস আয় পাঠানোর হার কমেছে, হুন্ডির মাধ্যমে বেশি আসছে রেমিট্যান্স। রেমিট্যান্স কমায় সার্বিক অর্থনীতিতে চোখ রাঙাচ্ছে ‘ডলার সংকট’। এই সংকট সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর প্রভাব ফেলছে। সংকট কমার পরিবর্তে ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ ডলার সরবরাহ করে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতি আরো বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এর আগে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩০০ কোটি ডলার বা তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা ১০০ কোটি বা এক বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ দুই বিলিয়ন ডলারে (প্রায় ২০০ কোটি ডলার)। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা হলে রিজার্ভ সাত বিলিয়ন থেকে কমে পাঁচ বিলিয়নে নেমে আসে। এরপর ধীরে ধীরে আবারও বাড়তে থাকে। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় রিজার্ভ। এখন তা কমে ৩৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

Link copied!