মার্চ ২৪, ২০২১, ১০:৫০ পিএম
বাংলাদেশ ও ভুটানের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কৃষি, হর্টিকালচার এবং মৎস্য খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, দু’টি দেশই আইসিটি, কৃষি, হর্টিকালচার এবং মৎসসহ আরও নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে পারে।
বুধবার (২৪ মার্চ) ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন। লোটে শেরিং বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
দুই দেশের সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, বাণিজ্য-বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভূটানের সমর্থনের কথা স্মরণ করে ভূটান সরকার এবং সেদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ভূটান বাংলাদেশের খুবই বিশ্বস্থ বন্ধু। ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সর্ম্পক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উৎসবে যোগ দেয়ায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরুর আগে ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে একটি স্মরক ডাক টিকিট উপহার দেন। বাংলাদেশে এই ঐতিহাসিক উৎসবে ডা. শেরিংকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক খাত এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন ভূটানের প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।