এপ্রিল ৯, ২০২২, ০১:৪৬ পিএম
রমজানে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর সর্বনিম্ন ছিল ৭৫ টাকা। তবে সর্বোচ্চ ছিল দুই হাজার ৩১০ টাকা।
আজ শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি জানান, ইসলামী শরিয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের মধ্য থেকে যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজারমূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন।
আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম। খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রামের মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজারমূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
কমিটির সভাপতি জানান, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৭৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৩০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।
এ ছাড়া তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিশমিশ বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ৪২০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে। ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
সভায় মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান ও মুফাসসির মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।