বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন শিষ্টাচার মেনে দায়িত্ব পালন করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ৭, ২০২৩, ০৪:১৭ পিএম

বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা যেন শিষ্টাচার মেনে দায়িত্ব পালন করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ শিষ্ঠাচার মেনে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গণতন্ত্রের স্বার্থে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।  

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে আয়োজিত স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্রের স্বার্থে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সংলাপ চলমান থাকবে। সংলাপের বিকল্প নেই। আমরা মনে করি, সব কিছুই সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”

সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, “

বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনা আছে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। তারা যেটি বলেছে সেটিই যথেষ্ট। তারাই মনিটরিং করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাষ্ট্রদূতরা যেন তাদের শিষ্টাচার মেনে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন— এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

আওয়ামী লীগকে একটি জনপ্রিয় দল উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণের ক্ষমতায় চলতে হবে। আর জনগণের ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই আলোচনার বিকল্প কিছু নেই।’

জামায়াতে ইসলামীকে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা— এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা রাজনীতি করেন, তাদের সভা-সমাবেশ করার রাজনৈতিক অধিকার রয়েছে। তারা তাদের মতামত প্রদর্শন করবে, জানাবে এবং  এটিই তো স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, “আমি যতদূর জানি, জামায়াতে ইসলামী এখন নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত রাজনৈতিক দল নয়। কাজেই এ বিষয়ে আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সিদ্ধান্ত জানাবেন। ঢাকায় (বায়তুল মোকাররম এলাকায়) সমাবেশ করতে দিলে কোনো নাশকতা বা বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।”

Link copied!