শব্দদূষণে বিশ্বের ১১৭ টি দেশের রাজধানীর তালিকায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। আর দেশের উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাজশাহী এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) বার্ষিক ‘ফ্রন্টিয়ারস রিপোর্ট-২০২২: নয়েজ, ব্লেজেস অ্যান্ড মিস্যোচেস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্বে শব্দ দূষণে শীর্ষ শহর। এই তালিকায় ঢাকার পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদ শহর। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি।
তবে এ প্রতিবেদন করতে জাতিসংঘ কীভাবে এ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে এবং ঢাকার কোন এলাকার শব্দদূষণ কীভাবে নিরূপণ করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আবাসিক এলাকার জন্য অনুমতিযোগ্য শব্দ সীমার মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল। এছাড়া বাণিজ্যিক এলাকা ও যেখানে যানজট আছে সেখানে ৭০ ডেসিবেল।
তবে ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল এবং রাজশাহীতে ১০৩ ডেসিবেল পাওয়া গেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির দূষিত শহরের এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৩টি শহর রয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকা, রাজশাহী ছাড়াও ভারতের মুরাদাবাদ, কলকাতা, আসানসোল, জয়পুর এবং দিল্লিও রয়েছে এই তালিকায়।
তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে শান্ত শহর নির্বাচিত হয়েছে জর্ডানের ইরবিদ শহর।৬৯ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা নিয়ে সবচেয়ে শান্ত শহর নির্বাচিত হয়েছে ইরবিদ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘গাড়ির শব্দ, উড়োজাহাজ চলাচল, রেল চলাচল, যন্ত্রপাতি, শিল্প এবং বিভিন্ন উৎসব ও বিনোদনমূলক আয়োজনের শব্দদূষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বায়ুদূষণের মাত্রার বিচারেও শীর্ষে বাংলাদেশ
এদিকে, বিশ্বে বায়ুদূষণের মাত্রার বিচারেও বাংলাদেশের নাম সবার শীর্ষে রয়েছে। আর রাজধানী হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। গত ২২ মার্চ সুইজারল্যান্ডের সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রকাশিত রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বের ১১৭টি দেশ, ৬ হাজার ৪৭৫টি অঞ্চল এবং স্থলভিত্তিক বায়ুর গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বায়ুদূষণ ডেটার ওপর ভিত্তি করে আইকিউএয়ারের রিপোর্টটি তৈরি করা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালে সবচেয়ে দূষিত বায়ু ছিল এমন তালিকায় ১১৭ দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ চাঁদ। তৃতীয়স্থানে রয়েছে পাকিস্তান, চতুর্থস্থানে রয়েছে তাজিকিস্তান এবং পঞ্চমস্থানে রয়েছে ভারত।
একটি দেশও ২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বায়ুমান বজায় রাখতে পারেনি বলেও ওই রিপোর্টে জানানো হয়।