বেনাপোল বন্দরের ভারতীয় অংশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিসার মেয়াদ আছে, হয়ে গেছে বাংলাদেশ প্রান্তের ইমিগ্রেশনও। কিন্তু ভারতের প্রান্তে ঢোকার সময় তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার থেকে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় এমন ভোগান্তির মুখে পড়েছেন বাংলাদেশি দর্শনার্থী ও বাণিজ্য ভিসাধারীরা। হঠাৎ করে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের এমন অঘোষিত সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। তবে মেডিকেল ভিসার যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো বাধা নেই।
এ বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইট ও অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে কোনো তথ্য বিবরণী কিংবা নোটিশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন কোনো নিয়ম হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ফিরে আসা যাত্রীরা বলছেন, পেট্রাপোল প্রান্তে ভারতীয় ইমিগ্রেশন থেকে বলা হয়েছে, দর্শনার্থী (টুরিস্ট) ভিসায় তিন মাসে একবার ও বাণিজ্য (বিজনেস) ভিসায় ১০ দিন পরপর ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা।
ফেরত আসা যাত্রী সোহরাব জানান, তিনি দেড় মাস আগে টুরিস্ট ভিসায় ভারতে গিয়েছিলেন। ঈদে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে শুক্রবার আবার যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভারতীয় ইমিগ্রেশন জানিয়েছে সর্বশেষ ভ্রমণের পর তিন মাসের আগে তিনি আর যেতে পারবেন না।
বিজনেস (বাণিজ্য) ভিসার যাত্রী কামাল হোসেন জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে ব্যবসার কাজে একবার ভারত গিয়েছিলেন। শুক্রবার আবার যেতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে এক সপ্তাহ পর আসতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, ‘টুরিস্ট ভিসায় অনেকে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন এবং বিজনেস ভিসায় অন্য কাজ করছেন—এমন সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের কড়াকড়িতে অনেক যাত্রী ফিরে এসেছেন।’
তবে ভোমরা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, এই স্থলবন্দর দিয়ে সাধারণ নিয়মে যাত্রীরা ভারতে গেছেন। কাউকে ফেরত পাঠানো হয়নি।