কালবৈশাখীর ঝড় ও বজ্রপাতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, শাল্লা ও হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পৃথক ঘটনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ও গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ঝড় ও বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এসময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও থানাসূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছচাপায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের সলেমানপুর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শশাঙ্ক পাল দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করে বলেন, “গতকাল বুধবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়ে। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা দুই শিশুসহ তাদের মা চাপা পড়ে মারা যান। এ সময় তাদের বাবাও আহত হয়েছেন।”
এদিকে, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে মৃতরা হলেন- আলমগীর মিয়া (২৬), শিক্ষার্থী হুসাইন মিয়া (১২) ও জুমা বেগম (১৩)। তারা সবাই বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।”
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। মৃতরা হলেন- কৃষক মুকুল খাঁ ও তার ছেলে মাসুদ খাঁ।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
শাল্লা থানার ওসি বলেন, “বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নাসিরপুর গ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। এ সময় ক্ষেতে কর্মরত অবস্থায় বজ্রপাতে কৃষক মুকুল খা ও তার ছেলের মৃত্যু হয়।”বজ্রপাতে নিহত কৃষকের আরেক ছেলে ও তার শ্যালকের ছেলে আহত হয়েছেন বলেও জানান শাল্লা থানার ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।