ভবনে সেফটি ট্যাঙ্ক থাকলেই ১০ শতাংশ কর মওকুফ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১৬, ২০২১, ০৬:১০ পিএম

ভবনে সেফটি ট্যাঙ্ক থাকলেই ১০ শতাংশ কর মওকুফ

যেসব ভবনে সেফটি ট্যাঙ্ক ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবনের মালিকদেরকে ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর মওকুফ করা হবে। শনিবার(১৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সে সময় মেয়র বলেন, আমাদের বাড়িধারা, গুলশান ও হাতিঝিল সহ অনেকগুলো লেক রয়েছে। কিন্তু কোন লেকেই আমরা মাছ ছাড়তে পারছিনা। কারণ লেকগুলোর এই রকম অবস্থা দাড়িয়েছে যে লেকগুলোতে মাছ ছাড়লে কোন মাছই আর বাঁচবে না।

মেয়র আতিক আরও বলেন, নগরীর অধিকাংশ বাসাবাড়ি এমনকি অভিজাত এলাকার ভবনগুলোতেও কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এই মূহুর্তে আমাদের একটাই কাজ নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধনের কার্যকর ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।

নগরীতে অঞ্চলভিত্তিক ফিক্যাল স্লাজ প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিশোধন ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হবে বলে জানান উত্তর সিটির মেয়র। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম দুই মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি প্রথম থেকে বলে এসেছি প্রত্যেক বাসায় সেফটি ট্যাঙ্ক থাকতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে কাজ করা শুরু করে দিয়েছি। গাজিপুর আর নারয়নগঞ্জে ইতিমধ্যে কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকায়ও যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই কাজ করবো।  খালগুলো প্রথমে ওয়াসার অধীনে ছিলো। কিন্তু ওয়াসা খালগুলো দখলমুক্ত করতে পারে নেই। পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়। আমাদের এখন ৫০টির মতো খাল অবশিষ্ট রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো খালই দখলমুক্ত করা শুরু হয়েছে। সিটি করপোরেশন ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে।

অন্যদিকে সোক ওয়েল বা সেফটি ট্যাঙ্ক ছাড়া আর কাউকেই বাড়ি অথবা বিল্ডিং করার অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানান ডিএসসিসির মেয়র। তিনি বলেন, ঢাকা পুরোপুরি অপিরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। ঢাকায় পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে পানির পাম্পই একমাত্র সমাধান। ২০০৯ সালে পানির পাম্প বসানোতে ৫০০ মিটারে পানি পাওয়া গেছে। এখন সেই ৫শ মিটারে পানির বদলে পাওয়া যাচ্ছে বালু ও পাথর। এখন পানি তুলতে ১ হাজার ১২শ মিটার নিচে নামতে হয়। তাও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পাওয়া যাচ্ছে না। 

আমদের কোন এলাকায় পয়নিস্কাশনের ব্যবস্থা নেই। পয়নিস্কাশনের মূল দায়িত্ব ওয়াসার। খাল গুলো সুন্দরভাবে রক্ষনাবেক্ষন করতে চাইলে যে পানি ব্যবহার করতে হবে সেই পানিটা হতে হবে বৃষ্টির পানির প্রবাহ, শুধুমাত্র স্বচ্ছ পানি। কিন্তু ঢাকা শহরের ৯৫শতাংশ বাসায় সেফটি ট্যাঙ্ক নেই। আর ৯৯শতাংশ বাসায় সোক ওয়েল নেই।

Link copied!