সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১, ১০:২৬ পিএম
আগেরবার সরকারে এসে করা প্রত্যেকটি ভালো কাজের জন্য মামলা খেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ৭৭৯ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগেরবার সরকারে এসে যতগুলো ভালো কাজ করেছিলাম তার সবগুলোর জন্যই মামলা খেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা থেমে থাকিনি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া’।
এ সময় নতুন করে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'প্রতি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের অনেক খরচ হলেও সবাইকে কম মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে মানুষের জন্য তা ভর্তুকিতে দেওয়া হচ্ছে’।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'করোনা ভাইরাসের কারণে উন্নয়নের গতি ব্যহত হলেও আমরা কারো কাছে হাত পাতছি না। ২০৪১ সালের মধ্যেই দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে কাজ করে যাচ্ছি।
দেশের সব মানুষের জন্য যেকোন মূল্যে করোনার টিকা নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা দিলেও করোনা সংক্রমণ হতে পারে। তাই সবাইকে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে’।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দিতে পারে, এমন কেউ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখাতে হবে’।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা বিদ্যুৎকেন্দ্র পাঁচটি হলো- হবিগঞ্জের জুলদায় বিবিয়ানা-৩-এ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ইউনিট-২, নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট, বাগেরহাটে মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উত্তরণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হল থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াসিকা আয়েশা খান, জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান, বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে কাজ শুরুর পর সরকার ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ১১৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে।