সারাদেশে সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট নিয়ে পার হলো রোজার ঈদ। বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও। কোথাও তেলের দেখা মিললেও চড়া দাম দিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। প্রাত্যহিক রান্নায় এরইমধ্যে সয়াবিন তেল বাদ দিয়ে সরিষার তেল ব্যবহার করছেন অনেকে। সয়াবিন তেলের অভাবে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল সোমবার সকাল ১১টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে এখন আর সয়াবিন তেলের সারি সারি বোতল দেখা যায় না। জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো সরবরাহ দিচ্ছে না। তাই তেল নেই।
তবে দেশের ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধি এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দাবি—সয়াবিন তেল সরবরাহে কোনও ঘাটতি নেই। খুচরা বিক্রেতারা তেল মজুত করায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যা এখনও চলমান।
প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান। এতে গোপনে সয়াবিন তেল মজুদ রাখার প্রমাণ মিলছে।
আজও চট্টগ্রামে এক দোকানের গুদামে পাওয়া গেছে ১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল। রবিবার বিকেলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে মজুত করা এসব তেল বের হয়ে আসে। পরে ‘অবৈধভাবে’ গুদামে তেল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঘি রাখার দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় দোকানের মালিক আবদুল হাকিমকে।