মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কুতুবপুর সীমানা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত প্রায় ২৫ জন।
রবিবার (১৯ মার্চ) ঘটে যাওয়া বাস দুর্ঘটনায় অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান থাকা শিশু সাজ্জাদ (৭) ও তার মা আনোয়ারা (২৮)। একটি মরদেহের নিচ থেকে তাদের যখন উদ্ধার করা হয় তখন মা আনোয়ারা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন।
জানা যায়, বাগেরহাটের মোল্লার হাট উপজেলার গারবা গ্রামের ব্যবসায়ী শাহিন মোল্লার স্ত্রী আনোয়ারা রবিবার ভোর রাতে ছেলেকে নিয়ে ইমাদ পরিবহনে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকায় অসুস্থ আত্মীয়কে দেখার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি।
আনোয়ারা বলেন, চালকের বাম পাশের আসনে বসেছিলাম, আমার ছেলে আমার কোলে ছিল। বাসের বাম পাশের টায়ার পাংচার হয়ে যায়। এরপর গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। আল্লাহ আমাদের দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমার আর ছেলের গায়ে একটুও আঁচড় লাগেনি।
তিনি বলেন, গাড়ি ছাড়ার শুরু থেকেই অনেক বেশি গতিতে চলছিল।
আনোয়ারা ও তার ছেলে সাজ্জাদকে উদ্ধার করা মাহাবুব আলম জানান, আমরা বাস থেকে প্রথমে মরদেহ বের করছিলাম। এরপর দেখি মরদেহের নিচে পড়ে থাকা আনোয়ারা তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। এরপর মা ও সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি।
আনোয়ারার স্বামী শহিদুল মোল্লা বলেন, বিধাতার কাছ থেকে আমার সন্তান ও স্ত্রী কে নতুন করে আবার ফিরে পেয়েছি। বিধাতা আমাকে এত বড় উপহার দিবে কখনো বুঝতে পারিনি। আমি বিধাতার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
অক্ষত অবস্থায় জীবিত তাদের দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে অনেক মানুষ।