মিতু হত্যা মামলা তদন্তে এলেন নতুন কর্মকর্তা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৫, ২০২১, ০২:১৩ পিএম

মিতু হত্যা মামলা তদন্তে এলেন নতুন কর্মকর্তা

সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় এক মাসের মধ্যে আবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে।

সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিমের পদোন্নতির কারণে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

তিনি বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বলেন, “আগের কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। তার স্থলে পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুককে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল।

এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে মামলার তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়।

এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে গ্রেফতার হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়, যেটি মিতু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল।

গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মুছার।

পরে এই মামলায় ফেসে গিয়ে পুলিশের চাকরি হারান বাবুল আক্তার।

এর পর মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন বাবুলকে আসামি করে মামলা করেন। গত ১২ মে বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়।

পিবিআই মামলা তদন্তের শুরু থেকে আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। পিবিআই থেকে বদলি হয়ে গত ১৮ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রাম নগর পুলিশে যোগ দিয়েছেন, বর্তমানে সিএমপি খুলশী থানার ওসির দায়িত্বে আছেন।

২২ নভেম্বর আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল পরিদর্শক মহিউদ্দিন সেলিমকে। মামলার তদন্তভার নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মহিউদ্দিন সেলিম সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান।

Link copied!