মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগের শুনানি ২১শে ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক আদালত।
আইসিসি'র জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার জবাব না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিকে, ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি'র বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগ এনেছে জান্তা সরকার।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দীর্ঘ দুই বছর পর ফের শুরু হচ্ছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগের শুনানি। মামলার বাদী গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল দাউদা জেলো জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম আনুষ্ঠানিক গণশুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন মিয়ানমারের তৎকালীন স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। তবে গেল ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে আটকের পর মামলার প্রধান প্রতিনিধিত্বকারী থেকে সু চ ‘কে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানান দাউদা জেলো।
এরমধ্যেই, আন্তর্জাতিক কোনো আদালতের চিঠির উত্তর না দিতে সেনাদের নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে'র দাবি, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি কিংবা আর্জেন্টিনার আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার জবাব সেনা সদস্যদের না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, একাধিক মামলার বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যেই মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির আরো পাঁচটি অভিযোগ এনেছে জান্তা সরকার। এরমধ্যে তার সরকারের আমলে হেলিকপ্টার ক্রয়, ভাড়া ও রক্ষণাবেক্ষণে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। এরইমধ্যে পাঁচটি মামলার মুখোমুখি হয়েছেন সু চি। করোনা বিধিনিষেধ ভঙ্গসহ অন্যান্য মামলায় সু চিকে ৬ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা দেয়া হয়েছে।