ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২, ০৮:১৭ পিএম
হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে দুই দশক ধরে ট্রাক চালকের বেশে পালিয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বন্দর থানার নিমতলা বিশ্বরোড থেকে জসিম উদ্দিন (৫০) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি লোহাগাড়ার আমিরাবাদে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক নুরুল আবসার জানান, লোহাগাড়ার আমিরাবাদে জমির বিরোধে ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে চার মাসের ব্যবধানে মাহমুদুল হক এবং তার বড় ভাই ব্যবসায়ী জানে আলমকে খুন করা হয়।
মাহমুদুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জন ও জানে আলম হত্যা মামলায় ২১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। দুই মামলার এজহারেই নাম ছিল জসিমের।
র্যাব কর্মকর্তা আবসার বলেন, “ছোট ভাইকে হত্যা মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন ব্যবসায়ী জানে আলম। আর্থিকভাবে স্চ্ছল থাকায় তিনি ভাইয়ের মামলা পরিচালনা করছিলেন। তাই আসামিদের ধারণা ছিল, জানে আলমকে খুন করতে পারলে তাদের মামলা পরিচালনা করতে পারবে না এবং তার সম্পত্তিও ভোগ করতে পারবে।”
ভুয়া এনআইডি বানিয়ে দুই দশক পালিয়ে ছিল ফাঁসির আসামি
জানে আলম হত্যা মামলায় ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই আদালত জসিম উদ্দিনসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে হাই কোর্ট জসিমসহ ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে অন্য ১০ জনকে খালাস দেয় উচ্চ আদালত ।
এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তপ্রাপ্ত ১০ জনের মধ্যে সৈয়দ আহম্মেদ নামে এক আসামিকে গত ২৭ জানুয়ারি নগরীর আকবর শাহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।
র্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবসার বলেন, “মাহমুদুল হক হত্যার পর জসিম লোহাগাড়া থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে চলে আসে এবং চার মাস পর গিয়ে জানে আলম হত্যা মামলায় অংশ নেয়।
“দুইটি হত্যাকাণ্ডের পর জসিম তার পরিবারের লোকদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পুরোপুরি আত্মগোপনে চলে যায়। পরে বোয়ালখালী উপজেলায় এক নারীকে বিয়ে করেন। জসিম নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন আর ট্রাক চালাতেন।”